প্রাণী প্রেমের নামে আমাদের হত্যা করা হয়েছে - মলি (২০১৭ - ১১ জুন, ২০২০)

ছবি
গত মে মাসে (২০২০) এর শেষের দিক থেকে কি মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে, এবং এখনও হচ্ছে... ফেব্রুয়ারি মাসে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। সেই সময়ই আমাদের বাসায় যিনি কাজ করতেন, তার ছেলের একটি সমস্যার কারণে তাকে দেশে যেতে হয়। এরপর লকডাউন এর কারণে তিনি আর ফিরে আসতে পারছিলেন না। আমার মা সিবিজি রুগী। আমার বড় বোন লন্ডনে থাকেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই অবস্থায় মা আমার খালার বাসায় থাকলেই ভালো হয়।   আমার দুটি পোষা বেড়ালের মধ্যে হুলো এবং অপরটির নাম ছিলো মলি। একা বাসায়  অসুস্থ অবস্থায় আমি ওদের দেখাশোনা করতে পারছিলাম না। করনা কালীন একা বাড়িতে অসুস্থা অবস্থায় আমার প্রচন্ড প্যানিক ও হচ্ছিলো। আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে আমাদের বাসায় যিনি কাজ করতেন, তিনি আর জীবিত ফিরে আসবেন না। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, দুর্ভিক্ষ হবে, ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, মানুষ তখন ঘরে ঘরে ধুকে ডাকাতি করবে। এমন একটা ধারণা অনেকেরই হয়েছিলো। প্যানিক থেকে প্রায় আমার নাক থেকে রক্ত পড়ত। দুশ্চিন্তা থেকে পেটে ব্যথা প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিলো। বেশী টেনশান হতো হুলো মলিকে নিয়ে। আমি ওদের ঠিক মতন দেখাশোনা করতে পারছিলাম না, ওরা যদ

একটি ছবির বিশ্লেষণ

আজ পিক্সেলেন্ট ফেইসবুক গ্রুপে একজন সদস্য, Mohammad Raihanul Kader, নীচের প্রজাপতির এই চমৎকার ছবিটি জমা  দিয়েছেন।


আমাকে Mohammad Raihanul Kader অনুরধ করলেন, এই ছবিটি নিয়ে আমার মতামত দিতে, তাই আমি আমার লম্বা বিশ্লেষণ এখানে দিচ্ছি।

আমাদের পিক্সেলেন্ট ফটোগ্রাফি গ্রুপে আবার আমরা সব সদস্যরা গঠনমূলক সমালচনাকে উৎসাহ দিয়ে থাকি। তাই এই গ্রুপে সবাই  তাদের ছবির গঠনমূলক সমালচনা পেতেই ছবি জমা দিয়ে থাকেন। কারণ এই গ্রুপে আমরা সবাই শিখছি।এবং শেখার কোন শেষ নেই।

প্রথমেই বলি ছবির সবচেয়ে সুন্দর জিনিষটি কি হয়েছে। তা হচ্ছে, ছবির সামনের অংশের ব্লার ইফেক্টটি। আমরা সবাই ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার সম্পর্কে জানি, কিন্তু ছবির সামনে কিভাবে ব্লার ব্লার ইফেক্ট দেয়া যায়, তা আরেক সময় লিখব। বা  Mohammad Raihanul Kader লিখে দিলে আমি এটা এই লেখায় বসিয়ে দিব। 

বেসিকালি অ্যাপারচার এর মান কমিয়ে সাবজেক্ট এর উপর ফোকাস করলেই, সাজেক্ট ছাড়া আর সব কিছু ব্লার হয়ে যায়। 


এই ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার এবং ফোরগ্রাউন্ড ব্লার, দুটোই আছে।


ছবির সামনের দিকের অংশটিকে ঝাপসা করলে তাকে বলা হয়ে থাকে Foreground blur। এই Foreground blur কে ঠিক মত কাজে না লাগালে অনেক সময় তা একটি ডিস্ট্রাকশান এর কাজ করে থাকে। তবে এই ছবিতে Foreground blur টি কে আরও ভাল ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে যেন দৃষ্টি সরাসরি সাবজেক্ট, এখানে প্রজাপতির দিকে চলে যায়। 

এখন আসি এই ছবির সামান্য একটা ত্রুটি প্রসঙ্গে। 

এখানে "রুল অব থার্ডস'" মানা হয়নি।    

'রুল অব থার্ডস'-এর ব্যবহার ঘটাতে, মনে মনে ফ্রেমটির মাঝখানে চারটি রেখা টেনে নিন। দুটি রেখা লম্বালম্বি, আর দুটি আড়াআড়ি। তাহলে ফ্রেমটি নয়টি কল্পিত খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যাবে। তাহলে দেখবেন, লাইন গুলো যেখানে মধ্যচ্ছেদ করে, সেখানে সাবজেক্ট কে বসালে ছবি অধিক অর্থবহ হয়ে উঠে।এটি ছবি তোলার সময় ও মাথায় রাখা যায়, বা পরবর্তীতে পোস্ট প্রসেস করেও ঠিক করে নেয়া যেতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এবং যে কোন প্রানির ছবি তোলার সময় ফোকাসটি হওয়া উচিৎ প্রানির চোখের উপর। সুতরাং এই ছবিতে প্রজাপতির চোখ থাকা উচিৎ ছিল এমন একটি স্থানে যেখানে লাইন মধ্যচ্ছেদ করেছে।


সেটি খুব সহজেই ক্রপ করে করে নেয়া যায়। নীচের ছবিটি লক্ষ করুণ। ডানদিক থেকে এবং নীচে থেকে একটু ক্রপ করলেই প্রজাপতির চোখ সেই intersecting লাইন এর উপর বসে যায়।


ক্রপ করার পর ফাইনাল ফলাফল।

নীচে কমেন্ট এ জানাবেন আপনাদের মতামত। কারণ আমিও শিখছি। এখন কি ছবিটি বেশী ভাল লাগছে, নাকি আগেই বেশী ভালো লাগছিল?

এখন থেকে ভাবছি কোন ছবিকে নিয়ে বিশ্লেষণ করলে এখানে লিখে ফেলবো, তাহলে সব গুলো লেখা এক জায়গায় থাকবে।

কোন নতুন লেখা লিখলেই যদি তার নোটিফিকেশন পেতে চান, তাহলে মনে করে এই ব্লগের গ্রাহক হয়ে নেবেন।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৭টি মাস্টার কম্পজিশন যা আপনার অবশ্যই চেষ্টা করা উচিৎ একজন বিগিনার ফটোগ্রাফার হিসেবে

প্রাণী প্রেমের নামে আমাদের হত্যা করা হয়েছে - মলি (২০১৭ - ১১ জুন, ২০২০)