প্রাণী প্রেমের নামে আমাদের হত্যা করা হয়েছে - মলি (২০১৭ - ১১ জুন, ২০২০)

ছবি
গত মে মাসে (২০২০) এর শেষের দিক থেকে কি মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে, এবং এখনও হচ্ছে... ফেব্রুয়ারি মাসে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। সেই সময়ই আমাদের বাসায় যিনি কাজ করতেন, তার ছেলের একটি সমস্যার কারণে তাকে দেশে যেতে হয়। এরপর লকডাউন এর কারণে তিনি আর ফিরে আসতে পারছিলেন না। আমার মা সিবিজি রুগী। আমার বড় বোন লন্ডনে থাকেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই অবস্থায় মা আমার খালার বাসায় থাকলেই ভালো হয়।   আমার দুটি পোষা বেড়ালের মধ্যে হুলো এবং অপরটির নাম ছিলো মলি। একা বাসায়  অসুস্থ অবস্থায় আমি ওদের দেখাশোনা করতে পারছিলাম না। করনা কালীন একা বাড়িতে অসুস্থা অবস্থায় আমার প্রচন্ড প্যানিক ও হচ্ছিলো। আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে আমাদের বাসায় যিনি কাজ করতেন, তিনি আর জীবিত ফিরে আসবেন না। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, দুর্ভিক্ষ হবে, ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, মানুষ তখন ঘরে ঘরে ধুকে ডাকাতি করবে। এমন একটা ধারণা অনেকেরই হয়েছিলো। প্যানিক থেকে প্রায় আমার নাক থেকে রক্ত পড়ত। দুশ্চিন্তা থেকে পেটে ব্যথা প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিলো। বেশী টেনশান হতো হুলো মলিকে নিয়ে। আমি ওদের ঠিক মতন দেখাশোনা করতে পারছিলাম না, ওরা যদ

নেচার ফটোগ্রাফি সেপ্টেমবার আসাইনমেন্ট ১ । Nature photography September Assignment-1

এবারের অ্যাসাইনমেন্ট হচ্ছে নেচার ফটোগ্রাফি (প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি)
এই শর্তাবলী গুলো প্রযোজ্য এই অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্যে
-
  1. ছবিতে কোন মানুষ বা মানুষের সৃষ্টি করা কিছু থাকতে পারবে না।
  2. ছবিতে দিগন্ত থাকলে, তাকে "রুল অব হরাইজন" মানতে হবে।  
  3. "রুল অব থার্ডস" প্রযোজ্য হলে, তা মানতে হবে।
  4. রুল অব থার্ডস” বা “রুল অব হরাইজন”, যে কোন একটি, যেটি প্রযোজ্য আপনার ছবির ক্ষেত্রে, তা মানতে হবে। যদি দুটোই প্রযোজ্য হয়ে থেকে আপনার ছবির ক্ষেত্রে, তাহলে দু'টি রুলই মানতে হবে। 
  5. যদি “রুল অব থার্ডস” বা “হরাইজন রুল” - কোনটিই আপনার ছবির জন্যে প্রযোজ্য না হয়ে থাকে, তবে ছবিটি এই অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্যে প্রযোজ্য হবে না। 
  6. আপনার ছবিতে যদি দিগন্ত থাকে, তা কোন এক দিকে হেলে গেলে সেই ছবিটি অ্যাপ্রুভ করা হবে না। এখানে দেখুন কেন দিগন্ত রেখাটিকে সোজা রাখা প্রয়োজন। 

ছবির ক্যাপশানে কি কি থাকতে হবে-

  1. আপনার আইডি। আইডি না থাকলে এখানে এনরোল করে নেবেন একটি আইডির জন্যে
  2. ছবির একটি টাইটেল
  3. রুল অব থার্ডস” বা “হরাইজন রুল”, কোনটি আপনার ছবিতে মানা হয়েছে। যদি দুটোই মানা হয়ে থাকে, তবে তা উল্লেখ করে দেবেন। এবং যদি একটিও মানার জন্যে আপনার ছবি প্রযোজ্য না হয়ে থাকে, তবে সেপ্টেমবার ২০১৯ এর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট "নেচার ফটোগ্রাফি"র জন্য আপনার ছবিটি আপ্রুভ করা যাবে না।  
  4.  ক্যাপশানে উল্লেখ করে দেবেন, আপনার ছবির ভালো দিক গুলো। কেন আপনার ছবিটি একটি চমৎকার ছবি, কেন সাবমিট করলেন। ইমোশান নয়, একজন ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিকোন থেকে বলবেন, আপনার ছবির ভালো দিক গুলো। 
এখানে কিছু উদাহরণ দেয়া হোল, কোন ছবিটি অ্যাপ্রুভ করা যাবে, এবং কোন ছবিটিকে যাবে না, এবং কেন অ্যাপ্রুভ করা যাবে না।


১। এই বেড়ালের ছবিটি অ্যাপ্রুভ করা যাবে না। কারণ বেড়াল মানুষের তৈরি করা মেঝে তে শুয়ে আছে। পিছে মানুষের তৈরি করা দেয়াল দেখা যাচ্চে। 

২। নিচের এই ছবিটিও চলবে না। কারণ এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ ছবি। “রুল অব থার্ডস” মানা হয়নি। ফোকাস করা ফুলটি একদম ছবির মাঝখানে
৩। এটা তো একেবারেই চলবে না। মানুষকে মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না, তবে ছবিতে কোন মানুষ থাকতে পারবে না।

৩। চলতো। টমাটো অথবা পানি, কোনটিই মানুষ সৃষ্ট করতে পারে না। টমাটো যদিও মানুষই গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে আসে, তাও চলতো। আর এই টোমাটোটি একটি মাছের টাংকির মধ্যে ফেলা হয়েছে যা মানুষের তৈরি। তাও অসুবিধে নেই কারণ মাছের টাংকিটি দেখা যাচ্ছে না। তবে মেইন সাবজেক্ট, টমাটো এখানে "রুল অব থার্ডস" মানে নি। তাই এই ছবিটি চলবে না।


৪। আলুর এই ছবিটিও চলবে না। আলুটিকে একটি মানুষের তৈরি করা কাঁচের উপর রাখা হয়েছে যে তা বোঝা যাচ্ছে। যদি মাটির উপর পরে থাকতো তাহলে চলতো। আরেকটা কারণে চলবে না, কারণ, ছবির সাবজেক্ট আলু একদম ছবির মাঝখানে। সুতরাং, এই ছবিটিও চলবে না। বিতর্কমূলক অ্যাসাইনমেন্ট না জমা দেয়া টাই ভালো।

৫। নীচের এই ছবিটিও চলবে না। মানুষ দেখা যাচ্ছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, ছবিতে "Rule of horizon" মানা হয়নি।ছবিতে দিগন্তকে রাখা হয়েছে ছবির মাঝখানে। শুধু প্রতিচ্ছবির ক্ষেত্রে দিগন্তকে ছবির মাঝখানে রাখা যাবে।

৬। নীচে বেড়ালের ছবিটিও চলবে না। কারণ বেড়ালটি শুয়ে আছে মানুষের সৃষ্টি করা একটি আলমারির উপর। তা ছাড়া এই ছবিতে "রুল অব থার্ডস" বা "হরাইজন রুল", কোনটিই প্রযোজ্য নয়। বিতর্কমূলক অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দিতে অনুরোধ করবো।

৭। নীচের ছবিটিও চলবে না। মানুষের তৈরি করা জানালার কাঁচ দেখা যাচ্ছে। এখানেও বলতে হবে যে "রুল অব থার্ডস" আসলে তেমন ভাবে প্রযোজ্য নয়।বিতর্কমূলক অ্যাসাইনমেন্ট না জমা দেয়া টাই ভালো।


৮। সিলেটে তোলা নীচের ছবিটি চলতো। "রুল অব হরাইজন" মানা হয়েছে। তবে চলবে না কারণ দিগন্ত রেখাটি একটু হেলে গিয়েছে। এবং যদিও লেইক, পাহাড় আর খাল মানুষই কেটে বানায়, তবুও চলতো যদি দিগন্ত রেখাটি একটু হেলে গিয়ে না থাকতো।


৯। নীচে মানি প্ল্যান্ট এর ছবিটিও চলবে না। মানুষের তৈরি করা টব দেখা যাচ্ছে। এবং "রুল অব থার্ডস" ও আসলে এই ছবির ক্ষেত্রে তেমন প্রযোজ্য হয়। "রুল অব থার্ডস" মানা হয়েছে ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে।

১০। নীচের এই ছবিটিও চলবে না। মানুষের তৈরি করা নৌকা দেখা যাচ্ছে।তাছাড়া দিগন্তকে মাঝখানে রাখতে চাইলে (যেটি করা যাবে কেবল প্রতিচ্ছবির ক্ষেত্রে), তাহলে ছবির একদম মাঝখানে রাখতে হবে। খেয়ার করে দেখবেন, এখানে দিগন্ত একদম মাঝখানে হয়। তাছাড়া এটি একটি পারফেক্ট প্রতিচ্ছবিও নয়। বিতর্ক মূলক অ্যাসাইনমেন্ট না দেয়া টাই ভালো।

১২। নীচের প্রতিচ্ছবির ছবিটি চলবে। এখানে একজন মানুষ শুধু ছবিটি তুলেছে। এ ছাড়া আর কোন মানুষের ছোঁয়া নেই। প্রতিচ্ছবির ক্ষেত্রে দিগন্ত মাঝখানে রাখা যাবে, এবং সেটিও রাখতে হবে একদম ছবির মাঝখানে। এই ছবিতে দিগন্ত রেখা একদম ছবির মাঝখানে। সুতরাং "রুল অব হরাইজন" মেনেছে ছবিটি।কেবল এই ছবিটি এই অ্যাসাইনমেন্ট এর সকল শর্ত মেনেছে।


ছবি জমা দেয়ার শেষ দিনঃ ১৫ই সেপ্টেমবার, ২০১৯, রাত আটটা


Deadline for Submission: 15th September, 2019 at 8:00pm

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

৭টি মাস্টার কম্পজিশন যা আপনার অবশ্যই চেষ্টা করা উচিৎ একজন বিগিনার ফটোগ্রাফার হিসেবে

প্রাণী প্রেমের নামে আমাদের হত্যা করা হয়েছে - মলি (২০১৭ - ১১ জুন, ২০২০)